Saturday, April 30, 2016

স্বপ্ন এবং সফলতা

আমরা আমাদের স্বপ্নকে পুঁজি করে বেড়ে উঠি। পৃথিবীর সকল সফল মানুষগুলাই স্বপ্নচারী। আমাদের মধ্যে কিছু লোক আছি আমরা যারা, আমাদের স্বপ্নগুলাকে গলা টিপে হত্যা করি আর কিছু আছে যারা মনে প্রানে তাদের স্বপ্ন পালন করে, স্বপ্ন পূরণে নিরলশভাবে কাজ করে যায় এবং খারাপ সময়ে স্বপ্নগুলাকে আগলিয়ে রেখে ভালো সময়ের জন্য কাজ করে। আর স্বপ্ন পূরণ এক মাত্র তাদেরই হয় যারা তাদের স্বপ্নে বিশ্বাস রাখে এবং সর্বোচ্চ সততা এবং নিষ্ঠার সাথে স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যায়। 

Monday, February 29, 2016

ভাবনা এবং সময়

সময়টা সুনসান নীরবতায় আচ্ছন্ন, ভাবনাগুলো বয়ে যায় মনের ডানদিক হয়ে সময়ের অন্তরালে.........
-    

           -  কৌশিক চন্দ্র চন্দ
-       -    ফেব্রুয়ারী ২৯, ২০১৬

Monday, September 14, 2015

ব্যর্থতা, সফলতার পথে প্রথম পদক্ষেপ

সফলতা শব্দটা বলতে অনেক সহজ, কিন্তু অর্জন করা ঠিক ততটুকুই কঠিন। আপনি যতটুকু সফলতা অর্জন করতে চাচ্ছেন, তার জন্য আপনার সমান পরিমাণ শ্রম এবং সময় দেওয়ার ইচ্ছা থাকতে হবে। আপনার মধ্যে সকল ব্যর্থতা এবং বাধা জয় করে এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। সকল সমালোচনা এড়িয়ে ইতিবাচক থেকে নিজের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হবে।

আপনাদের মধ্যে যারা ভালো কিছু করার ইচ্ছা নিয়ে কিছু শুরু করেছেন এবং কিছু দিন চেষ্টা করার পর হতাশ হয়ে নিজেকে ব্যর্থ ভাবতে শুরু করছেন, তাদের প্রথম ভুলটাই এখানে!সত্যিকার অর্থে আপনি ব্যর্থ তখনি, যখন আপনি আশা ছেড়ে দিয়ে কাজ করা বন্ধ করে দিলেন এবং ভাবতে শুরু করলেন যে, এই কাজ আপনার জন্য নয়। হা, আসলেই কাজটি আপনার জন্য নয় কারন আপনি ওই কাজে সফল হওয়ার প্রথম সূত্রই মানতে পারেননিপ্রথম সূত্রটি হচ্ছে, ব্যর্থতাকে মেনে নিয়ে এবং হতাশাকে জয় করে সামনে এগিয়ে যাওয়া।”

আপনি একজন সফল এবং একজন ব্যর্থ ব্যক্তির মধ্যে পার্থক্য করতে গেলে দেখতে পাবেন সফল ব্যক্তি, ব্যর্থ ব্যক্তি থেকে অনেক বেশিবার ব্যর্থ হয়েছে কিন্তু কখনো হতাশ হয়ে নিজের লক্ষ্য থেকে দূরে সরে যায় নি। বরং নতুন উদ্যমে ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজের লক্ষ্যের দিকে ছুটে গেছে আপন গতিতে। সফলদের কাছে ব্যর্থতা কখনোই ব্যর্থতা নয় বরং ব্যর্থতাই হচ্ছে সফল হওয়ার পথে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

আপনি অনলাইন বা অফলাইন যেখানেই কাজ করুন না কেন? আপনার সফলতা নির্ভর করে লক্ষ্য অর্জনে আপনি কতটুকু ত্যাগ স্বীকার করতে ইচ্ছুক এবং লক্ষ্যের পেছনে ছোটা’র জন্য ভেতর থেকে কতটুকু তাড়না অনুভব করেন তার উপর। আপনাকে মরিয়া হয়ে লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যেতে হবে এবং ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ছুটে যেতে হবে সফলদের কাতারে।

আসুন দেখে নেই, লক্ষ্য অর্জনে পৃথিবীর বিখ্যাত সফল ব্যক্তিদের পদক্ষেপগুলো কেমন ছিলঃ-

ইচ্ছা
শুরুটা হয় ইচ্ছা থেকেই। যেন তেন ইচ্ছা নয় থাকতে হবে বড় কিছু করার প্রবল ইচ্ছা।

সিদ্ধান্ত
আপনার ইচ্ছাটাকে শক্তিতে পরিণত করে নিতে হবে একটি সিধান্তে। আপনার একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্তই পরবর্তী ধাপগুলো অনুসর করার মাধ্যমে আপনাকে পৌছে দেবে সফলদের কাতারে।

সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য
সিদ্ধান্তটাকে পরিণত করে নিতে হবে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যেসিদ্ধান্তটা যদি হয় আপনার ‘অনেক টাকা আয় করা’ তাহলে এই লক্ষ্যে আপনি কখনোই পৌছাতে পারবেন না কার আপনি আসলে কত টাকা আয় করতে চাচ্ছেন?  আপনি নিজেই জানেন না কিন্তু আপনি যদি ঠিক করে নিতে পারেন “হা আমি আগামী ‘*’ বছরের মধ্যে ‘********’ টাকা আয় করবো” তাহলে সেই লক্ষ্যের পেছনে ছোটা আপনার জন্য অনেক সহজ হয়ে দাঁড়াবে।

এখন মনে করুন, আপনি চাচ্ছেন আপনার কারিগরী দক্ষতা বৃদ্ধি করতে বা নির্দিষ্ট একটা বিষয়ে জ্ঞান বাড়াতে। তাহলে এখানে আপনার কারিগরী দক্ষতা বৃদ্ধির বা ওই বিষয়ে জ্ঞান বাড়ানোর ইচ্ছাটা আছে, এখন আপনাকে একটা বা, কিছু সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক করে নিতে হবে এবং সে অনুযায়ী আপনাকে অগ্রসর হতে হবে।

এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, আপনি যেন বাস্তবসম্মত লক্ষ্য ঠিক করেনলক্ষ্য ঠিক করার আগে আপনাকে দেখতে হবে আপনার বর্তমান অবস্থাটা কি এবং আপনি কত সময় পাচ্ছেন লক্ষ্যে পৌছাতে?

সংগঠিত পরিকল্পনা
সংগঠিত পরিকল্পনা ছাড়া সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো কোন ভাবেই সম্ভব নয়। লক্ষ্য ঠিক করার পরের ধাপই হচ্ছে, ভালো একটি পরিকল্পনা তৈরি করা। যার মধ্যে নিম্নলিখিত বিষয় গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবেঃ

  • ·         লক্ষ্যে পৌঁছাতে প্রয়োজনীয় উপকরণ কিভাবে আসবে?
  • ·         লক্ষ্যে পৌঁছাতে আপনি দৈনিক, সাপ্তাহিক এবং মাসিক কি পরিমাণ সময়, কিভাবে ব্যয় করবেন?
  • ·         আপনার লক্ষ্য অর্জনে চলার পথে যাদের প্রয়োজন পড়বে, তাদের কিভাবে সংগঠিত করবেন?
  • ·         কিভাবে সাময়িক ব্যর্থতা এবং হতাশাকে দূরে সরিয়ে ইতিবাচক থাকবেন ?
  • ·         কিভাবে লক্ষ্যে চলার পথে অন্তরায় হতে পারে এমন বিষয় গুলোকে সামলাবেন?
  • ·         কিভাবে নেতিবাচক বিষয়গুলো বা, মানুষদের থেকে নিজেকে দূরে রাখবেন ?


এছাড়াও পরিকল্পনাটাকে শক্তিশালী করতে যা প্রয়োজন সবকিছু অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

মন মানসিকতার উন্নয়ন
সফল হতে হলে আপনাকে অবশ্যই মন মানসিকতার উন্নয়ন সাধনে কাজ করতে হবে। আপনাকে গড়ে তুলতে হবে একটি ইতিবাচক মন মানসিকতাআপনাকে দিনের একটা অংশ অবশ্যই আপনার লক্ষ্য নিয়ে ভাবতে হবে। আপনার মনকে সব সময় ব্যস্থ রাখতে হবে লক্ষ্য অর্জনে আপনার তৈরি করা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন নিয়ে।

মন থেকে নেতিবাচক বিষয়গুলো দূরে সরিয়ে ফেলতে হবে এবং তা একমাত্র সম্ভব যখন আপনি আপনার মনকে ইতিবাচক চিন্তায় ব্যস্থ রাখতে পারবেন।
  • ·         ঘুমাতে যাওয়ার আগে প্রতিদিন নিজের লক্ষ্য নিয়ে ভাবতে হবে।
  • ·         ঘুম থেকে উঠে নিজের লক্ষ্য নিয়ে ভাবতে হবে।
  • ·         সারাদিন নিজেকে ইতিবাচক কাজে ব্যস্থ রাখতে হবে।
  • ·         সফল ব্যক্তিদের অনুসর করতে হবে।
  • ·         নেতিবাচক যেকোনো বিষয় থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে।
  • ·         শরীর ও মন সুস্থ রাখতে হবে।


পরিকল্পনা বাস্তবায়ন
সংগঠিত পরিকল্পনা তৈরি করা মানেই লক্ষ্যে পৌঁছানো নয়, আপনাকে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, আমাদের পরিকল্পনার “পরী” উড়ে চলে যায় আর “কল্পনা” আমাদের মাঝে থেকে যায়। এটা কখনোই হতে দেওয়া যাবে না।

আপনাকে আপনার পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে যেতে হবে। আপনার পরিকল্পনা যদি হয়ে থাকে, আপনি সাত দিনে একটি কাজের ১০ ভাগ শেষ করবেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে এবং যথাযথ ভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে।

আলস্যকে কখনোই লক্ষ্য অর্জনের পথে বাধা হতে দেওয়া যাবে না এবং আজকের কাজ আগামীকালের জন্য বা, ভবিষ্যতের জন্য ফেলে রাখা যাবে না।

ধারাবাহিকতা এবং পরিশ্রম
একটি ইচ্ছা + একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত + যথাযথ পরিকল্পনা + কঠোর পরিশ্রম + ধারাবাহিকতা = সফলতা

সবকিছুর শুরু হচ্ছে আপনার সেই ইচ্ছা থেকে বা আপনি বলতে পারেন আপনার স্বপ্ন থেকে। ইতিবাচক একটি সিদ্ধান্ত, যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহ এবং ধারাবাহিক কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমেই আপনি পৌঁছাতে পারেন আপনার লক্ষ্য এবং সফলদের কাতারে।

আপনার চলার পথে ব্যর্থতা আসবে, হতাশা আসবে কিন্তু আপনাকে থেমে গেলে চলবে না। আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে, ছোট ছোট সফলতাগুলো থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে। আপনাকে শিখতে হবে সময়ের সর্বোচ্চ ব্যবহার করার কৌশল

সফল ব্যক্তিরা একদিনে বা হঠাৎ সফল হয়ে যায়নি, তাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে ব্যর্থতার, মুখোমুখি হতে হয়েছে হতাশার কিন্তু তাদের কেউই থেমে থাকে নি কারন তাদের জানা আছে সফলতার মন্ত্র, ব্যর্থতা এবং হতাশা থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার মন্ত্র।

যখন আপনি বিশ্বাস করা শুরু করবেন “হা আপনি পারবেন” এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাবেন লক্ষ্যের দিকে, তখনি সফলতা ধরা দিবে আপনার হাতে।

তাকিয়ে দেখুন বিখ্যাত থমাস আলভা এডিসনের দিকে, তার দশ হাজার বারের ব্যর্থতা তাকে থামিয়ে দিতে পারে নি তার স্বপ্ন, তার লক্ষ্য অর্জনে। প্রতিবার তার ব্যর্থতা তাকে একটু একটু করে নিয়ে গেছে সফলতার দিকে, তার বৈদ্যুতিক বাতির স্বপ্নের দিকেব্যর্থতাগুলি ছিল তার সফলতার পথে সবচেয়ে বড় সহায়ক।

-          কৌশিক চন্দ্র চন্দ
ফ্রিল্যান্স ডিজিটাল মার্কেটার

Friday, September 11, 2015

ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে সফলতার তিনটি সিক্রেট!

দক্ষ এবং ভালো কাজ জানা থাকা সত্ত্বেও, অনেকের জন্য মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়া যেন সোনার হরিণ। মার্কেটপ্লেস যেমন অডেস্ক, ইলেন্স অথবা ফ্রিলান্সারে বিড করতে করতে আপনাদের অনেকের মধ্যেই হতাশা চলে আসে। আপনি ভাবতে থাকেন ‘আমি দক্ষ হয়েও কাজ পাচ্ছি না কেন?’, আপনি আপনার ভুলটা খুজে পাচ্ছেন না।

প্রথমেই টাইটেলটা পড়ে আপনি নিশ্চয়ই কাজ পাওয়ার এবং সফল হওয়ার সিক্রেট জানার জন্য আগ্রহ নিয়ে এই লিখাটা পড়তে শুরু করলেন। এর কারন হচ্ছে আপনি সফলতার জন্য উদগ্রীব এবং আপনার মধ্যে সফল হওয়ার ইচ্ছাটা আছে।
আমি যেই সিক্রেট গুলা বলবো এখানে আসলে সবটাই ওপেন সিক্রেট। এই সিক্রেট গুলা আপনি আমি সবাই জানি, কিন্তু জানি না কিভাবে এই ওপেন সিক্রেট গুলা ব্যবহার করে সফল হওয়া যায়।

প্রথমেই বলে নেই, এই ওপেন সিক্রেট গুলা তাদের জন্যই, যারা নিজের কাজে দক্ষ এবং জানেন কিভাবে কোন কাজ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শেষ করতে হবে। ধরুন আপনি একজন রেস্পন্সিভ ওয়েব ডিজাইনার, এখন আপনি যদি একটি রেস্পন্সিভ ওয়েবসাইট ডিজাইন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দক্ষতার সাথে করতে পারেন তাহলে মার্কেটপ্লেসে সফল হওয়ার এই তিনটি সিক্রেট আপনার জন্যই।

প্রস্তাবনা লিখাঃ-
প্রথমেই কথা বলবো প্রস্তাবনা লিখা নিয়ে, যেটা আমাদের কাছে মার্কেটপ্লেসে কভার লেটার হিসেবে পরিচিত। মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়ার জন্য আমাদের প্রথম যেই কাজটা করতে হয় সেটা হছে কভার লেটার লিখা। বায়ার মার্কেটপ্লেসে প্রজেক্ট বা জব পোস্ট করে সেখানে আমরা কভার লেটার লিখে বিড করি কাজ পাওয়ার জন্য।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কভার লেটারে সঠিক কি লিখতে হয়? বা আপনি কি লিখেন? অথবা অন্যরা কি লিখে? এবং কাজটা শেষ পর্যন্ত কে পায়?

সাধারণত আমরা যেই কাজটা করি, একই কভার লেটার একটু এই দিক সেই দিক করে বিভিন্ন জবে বিড করি। আর সেখানে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা যেটা লিখি, ‘আমি কাজ জানি, আমি এটা জানি ওটা জানি। আমি এমন কাজ আরও অনেক করেছি বা আমি এত বছর ধরে এইকাজ করতেছি। আমাকে সুযোগটা দাও আমি সফল ভাবে কাজটা শেষ করে দিবো অথবা লিখি আমি প্রয়োজনে তুমাকে কিছু ফ্রি কাজ করে দেখাই’ এই ধরনের কভার লেটার আমরা লিখি।

ব্যাপারটা হচ্ছে, এমন ভাবে লিখেলে যে এটা একটা খারাপ কভার লেটার হবে এমন না। এমন ভাবে লিখেও মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়া যায়। কিন্তু তখনই পাওয়া যায় যখন আপনার প্রোফাইলে বায়ারদের ভালো ফিডব্যাক এবং কাজের অভিজ্ঞতা থাকবে।
এখন যেনে নিন প্রস্তাবনা লিখার সিক্রেটঃ

জব বা প্রজেক্ট ডেসক্রিপশনটি ভালো ভাবে পড়ে এবং বুঝে নিন বায়ার আসলে কি চাচ্ছে। তারপরঃ-
  • বায়ারের প্রোফাইলে অন্য ফ্রিলান্সারদের দেওয়া ফিডব্যাক গুলা পড়ুন এবং যদি সম্ভব হয় বায়ারের নামটা বের করুন। তারপর কভার লেটার শুরু করুন এভাবে, পুরুষ হলে ‘Hello ***’ মহিলা হলে ‘Hi ***’.
  • কভার লেটারে আপনাকে এমন কিছু লিখতে হবে যেটা বায়ারের বিজনেস এর জন্য সহায়ক এবং আপনি আপনার কাজের মাধ্যমে এর প্রতিফলন দেখাতে পারবেন।
  • কভার লেটারে আপনি কি কাজ জানেন এটা না লিখে, বায়ারকে ধারণা দিন আপনি কিভাবে কাজটা করবেন এবং লিখুন আপনি এমন একটা কাজ আগে করেছেন।
  • আগে থেকে স্যাম্পল রেডি রাখুন এবং প্রতিটা স্যাম্পলের জন্য একটি করে প্রজেক্ট ডেসক্রিপশন লিখে রাখুন মানে ঠিক আপনি কি কাজ করেছিলেন ওই প্রজেক্টের জন্য। এখন আপনি প্রশ্ন করতে পারেন ‘আমিতো মার্কেটপ্লেসে আগে কাজ করিনি তাহলে স্যাম্পল কোথায় পাবো?’ আপনি প্র্যাকটিস করার জন্য, নিজেকে দক্ষ করে তুলার জন্য যেই কাজ গুলা করেছিলেন সেগুলাই স্যাম্পল হিসেবে ব্যবহার করুন। বুঝা গেলো?
  • সবার শেষের লাইনে লিখুন আপনি এই জব বা প্রজেক্টটি নিয়ে বায়ারের সাথে আরও আলোচনা করতে ইচ্ছুক এবং লিখুন আপনি বায়ারকে কিভাবে এই জবের বা প্রজেক্টের ব্যাপারে হেল্প করতে পারবেন সেটা নিয়ে আলোচনা করতে চান।
 ইন্টারভিউ দেওয়াঃ-
আপনি যদি কভার লেটার লিখার কাজটা সঠিক ভাবে করতে পারেন তাহলে প্রতি তিনটা বা পাঁচটা বিড করলে আপনি নিশ্চিত ভাবে একটিতে ইন্টারভিউ ইনভাইটেশন পাবেন। এখন কিভাবে ইন্টারভিউতে সফল হবেন?
ইন্টারভিউতে সফল হওয়ার সিক্রেটঃ-

যোগাযোগের দক্ষতা এনে দিবে আপনাকে সফলতা।
  • ইন্টারভিউতে সফল হওয়ার প্রথম শর্ত হচ্ছে, যত ধ্রুত সম্ভব বায়ারকে রিপ্লাই করা। অবশ্যই এভাবে শুরু করবেন, ‘Thank you for getting back to me / Thanks for messaging me’ এটাই লিখতে হবে এমন নয়, আপনি নিজের মত করে লিখুন।
  • ইন্টারভিউ শুরুর আগে থেকেই প্রস্তুতি নিন এবং সকল স্যাম্পল রেডি রাখুন যেন বায়ার দেখতে চাওয়ার সাথে সাথেই দেখাতে পারেন। আপনার কাজ রিলেটেড সকল কিছু একটি ফোল্ডারে রাখুন সম্ভব হলে ড্রপবক্সে আপলোড করে রাখুন।
  • বায়ার কে কনভিন্স করার চেষ্টা করুন যে আপনিই সেরা এই কাজের জন্য কিন্তু সেটা কথায় নয় কাজে। তাকে আপনার স্যাম্পল গুলা দেখান।
  • এখন আপনি আপনার কাজ রিলেটেড দক্ষতা গুলা তুলে ধরুন প্রথমে তারপর অন্য কোন দক্ষতা থাকলে সেটাও তুলে ধরুন।
  • বায়ারকে সেই কাজ সম্পর্কে টেকনিক্যাল প্রশ্ন করুন, আপনার মনে কোন আইডিয়া থাকলে কাজ সম্পর্কিত, বায়ারকে সেটা সংক্ষিপ্ত ভাবে জানান।
  • বায়ার যদি আপনাকে হায়ার নাও করে তাকে ‘Good Luck’ জানান এবং পরবর্তিতে আপনাকে একটা সুযোগ দেওয়া যায় কিনা প্রশ্ন করুন।
  • আর কাজটা পেয়ে গেলে আমার সাথে যোগাযোগ করে পার্টি দিন :P
নিজের কাজে ফোকাসড থাকুন এবং অরগানাইজড থাকুন দেখবেন মার্কেটপ্লেসে সফলতা পাওয়া কোন ব্যাপার না কারন আপনি কাজ জানেন এবং নিজের কাজে দক্ষ।

সফলতার পথে তৃতীয় সিক্রেটঃ-
আসলে এটাই হওয়া উচিত ছিল প্রথম সিক্রেট। :P

আসুন যেনে নেই কিভাবে মার্কেটপ্লেসে কার্যকর প্রোফাইল তৈরি করবেনঃ-
  • আপনার দক্ষতা অনুযায়ী যথাযথ টাইটেল ব্যবহার করুন যেন বায়ার দেখেই বুঝতে পারে আপনি সেই কাজটি জানেন।
  • আপনি যেই কাজগুলা জানেন ঠিক সেই কাজ গুলাই প্রোফাইলে লিস্ট করুন। যেমন অডেস্কে নাম এবং টাইটেলের নিচেই থাকে আপনার দক্ষতার লিস্ট।
  • ভালো একটি ওভারভিউ লিখুন যেখানে নিন্মুক্ত ব্যাপার গুলা ফোকাসড হয়ঃ-
১. আপনার সম্পর্কে দুই লাইন।
২. আপনার বিশেষ দক্ষতা গুলা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ।
৩. আপনি কিভাবে বায়ারদের বিজনেস গ্রোথে অবদান রাখতে পারে, এটা নিয়ে তিন চার লাইন।
৪. আপনার সাথে যোগাযোগের মাধ্যম গুলা। ভুলেও নিজের ইমেইল স্কাইফ বা কোন কন্টাক্ট ইনফরমেশন দিবেন না। শুধু মাত্র মাধ্যম গুলার নাম উল্লেখ করবেন।
৫. আপনার ওভারভিউ পড়ার জন্য ধন্যবাদ দিয়ে শেষ করুন।
  • পোর্টফলিও হিসেবে স্যাম্পল গুলা ডেসক্রিপশন সহ আপ্লোড করুন।
  • কোথায় পড়ালেখা এবং কাজ করেছেন উল্লেখ করুন ভুলেও মিথ্যা তথ্য দিবেন না।

এবং সর্বোচ্চ আত্মবিশ্বাস এবং দক্ষতার সাথে চেষ্টা করুন। কখনো আশাহত হবেন না, কারন আপনি জানেন না সফলতা আপনার কতটুকু কাছে অপেক্ষা করছে। আপনার হার্ড ওয়ার্ক এবং বার্নিং ডিসায়ার আপনাকে নিয়ে যাবে সফলদের কাতারে।

লিখেছেনঃ কৌশিক চন্দ
ফ্রিল্যান্স ডিজিটাল মার্কেটার


Note: সবার সাথে শেয়ার করুণ :)

যেকেউ আপনার ব্লগে বা ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করতে পারেন তবে অবশ্যই ক্রেডিট দিতে ভুলবেন না :) 

Tuesday, June 24, 2014

কুমিল্লা জেলার ওয়েব পোর্টাল, আইসিটি এবং ই-সেবা এবং ই-গভর্নেন্স

কুমিল্লা জেলার ওয়েব পোর্টালের কাজ বা এই ওয়েব পোর্টাল সাধারণ জনগনের কি কাজে লাগবে?
কুমিল্লা জেলার ওয়েব পোর্টালঃ http://www.comilla.gov.bd/ 

কুমিল্লা জেলার এই ওয়েব পোর্টালটি কুমিল্লাকে এক ধাপ সামনে নিয়ে গেলো ই-সেবা এবং ই-গভর্নেন্স প্রতিষ্ঠায়। কুমিল্লা বাংলাদেশের একটি সমৃদ্ধ এবং প্রাচীন শহর হওয়া সত্ত্বেও তথ্য ও প্রযুক্তিগত (আইসিটি) দিক থেকে কুমিল্লা অনেক পিছিয়ে আছে। এখন এই ওয়েব পোর্টালের হাত ধরে কুমিল্লা এগিয়ে যাবে সামনে দিকে এবং কুমিল্লা হবে বাংলাদেশের একটি মডেল তথ্য প্রযুক্তি শহর। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি এটা খুবই সম্ভব।

কুমিল্লা জেলার ওয়েব পোর্টাল, আইসিটি এবং ই-সেবা এবং ই-গভর্নেন্স
ছবিটি নেয়ে হয়েছেঃ comilla.gov.bd
তাহলে চলুন যেনে নেই, কুমিল্লা জেলার এই ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন সাধারণ জনগনকে কি ধরণের ই-সেবা দিয়ে থাকে।
  • দাপ্তরিক আবেদন, 
  • নকলের জন্য আবেদন 
  • আপনার আবেদন 
  • আপনার আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানতে পারবেন।
  • অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন 
  • অনলাইনে মৃত্যু নিবন্ধন করা যাবে সহজে।
  • জেলা ই- ডিরেক্টরী
  • সরকারি ফরম ডাউনলোড
  • কৃষি তথ্য সার্ভিস
  • ই তথ্য কোষ
  • ই বুক 
এছারাও এমন আরও অনেক সেবা যা সাধারণ জনগনকে ঘণ্টার পড় ঘণ্টা বসে থেকে বা অপেক্ষা করে নিতে হতো এখন তা এই ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে সহজেই পেয়ে যাবে।
আপনি এই ওয়েব পোর্টালে পাবেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের সকল কার্যক্রমের তথ্য, কুমিল্লার স্থানীয় সরকার যেমন  সিটি কর্পোরেশন,  সিটি কর্পোরেশন কার্যক্রম, জেলা পরিষদ এবং জেলা পরিষদের সংগঠনগুলার তথ্য।

এছাড়াও এই ওয়েব পোর্টালে আছে কুমিল্লা জেলার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা, যা নিসন্দেহে একটু দারুণ উদ্যোগ। এছাড়াও পাওয়া যাবে কুমিল্লার প্রতিটা সরকারী কার্যালয়ের ঠিকানা এবং সকল ওইসব কার্যালয়ে কি ধরণের এবং কিভাবে সেবা পাবেন তার বর্ণনা।

এছাড়াও রয়েছে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সংগঠন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তথ্য।

সব মিলিয়ে বলা যেতে পারে, কুমিল্লা জেলার এই সরকারী ওয়েব পোর্টালটি ডিজিটাল বাংলাদেশ, তথ্য ও প্রযুক্তি (আইসিটি) এবং ই গভর্নেন্সের একটি চমৎকার উদাহরন।
কৌশিক চন্দ - ব্লগার কৌশিক। ২৪ জুন, ২০১৪।

Sunday, June 22, 2014

বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন বা ওয়েব পোর্টাল কি?

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ সরকার একটি জাতীয় তথ্য বাতায়ন বা ওয়েব পোর্টাল উদ্বোধন করেছে যেখানে সরকারী সকল ধরণের জেলাভিত্তিক ই-সেবা এবং ই-গভর্নেন্সের তথ্য পাওয়া যাবে। এই ওয়েব পোর্টালটি সম্পর্কে বলা যেতে পারে বাংলাদেশের জন্য একটি বিরাট প্রাপ্তি তথ্য ও প্রযুক্তিগত যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে। এই ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে যে কেউ বাংলাদেশ সরকারের প্রতিটা সেবা সম্পর্কে তথ্য জানতে পারবে এবং প্রতিটা জেলার নিজ নিজ ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে সরকারী সেবা জনগনের কাছে খুবই সহজে পৌছাতে পারবে।

বাংলাদেশের ওয়েব পোর্টালঃ http://www.bangladesh.gov.bd/

তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক, ওয়েব পোর্টাল কি?

ওয়েব পোর্টাল কি?

ওয়েব পোর্টাল হচ্ছে এমন একটি বিশেষ ওয়েব পাতা যেখানে অনেক গুলা উৎস থেকে সংগ্রহ করা বিভিন্ন তথ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক সাজানো থাকে। একটি ওয়েব পোর্টালে সাধারণত সরকারী সেবার তথ্য, স্থানীয়, আঞ্চলিক, স্টক রিপোর্ট এবং জাতীয় খবর, এবং ইমেইল সেবা প্রদান করে থাকে।

মূলত প্রতিটি নির্দিষ্ট তথ্যের উৎসকে প্রদর্শনের জন্য ওয়েব পোর্টালে যথেষ্ট পরিমান এলাকা থাকা মানে তথ্যকে প্রদর্শনের জন্য পেজে তার ডেডিকেটেড এলাকা পায়। এছাড়াও প্রতিটা ওয়েব পোর্টালে প্রথম পাতায় সব গুলা তথ্যের জন্য একটি ইনডেক্স বা সূচি দেয়া থাকে, যেন ব্যবহারকারীরা সহজে তার দরকারি তথ্য খুজে পায়।

ওয়েব পোর্টাল বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে। যেমনঃ
  • ব্যক্তিগত ওয়েব পোর্টাল
  • সরকারী ওয়েব পোর্টাল
  • সাংস্কৃতিক ওয়েব পোর্টাল
  • কর্পোরেট ওয়েব পোর্টাল
এছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরণের ওয়েব পোর্টাল রয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন বা ওয়েব পোর্টাল কি?
ছবিটি নেয়ে হয়েছেঃ bangladesh.gov.bd

কৌশিক চন্দ - ব্লগার কৌশিক। ২২ জুন, ২০১৪।

Monday, June 16, 2014

আমার মাঝে ঘটে চলা পরিবর্তন

কেন জানি এখন আর আগের মত সব কিছু ভালো লাগে না। নিজের মধ্যে বড় কিছু পরিবর্তন দেখতেছি গত কিছু দিন। আগে যেই কাজ গুলা ঘণ্টার পর ঘণ্টা করে গেলেও বিরক্ত লাগতো না এখন সেই কাজ একটু করলেই রুচি উল্টে যায়।

আগে যাদের সাথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আজাইরা প্যাঁচাল করে কাটিয়ে দিতাম এখন তাদের সাথে কিছুক্ষণ কথা বললেই মনে হয় অপ্রয়োজনীয় কথা বলতেছি। মনে হছে তাদের সাথে একটা দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে আর দিন দিন নতুন কিছু মানুষের সাথে পরিচিত হয়ে উঠছি। যাদের সাথে নতুন পরিচয় হচ্ছে তাদের সাথেও এখন আর আগের মত অপ্রয়োজনীয়  কথা বলতে পারি না কিন্তু তাদের সাথে মনে হচ্ছে আরও ভালো বন্ধু হতে যাচ্ছি আমি।

কেমন যেন সিরিয়াস হয়ে যাচ্ছি দিন দিন যার ফলে প্রিয় মানুষ গুলা দিন দিন দূরে চলে যাচ্ছে। এখন আর তাদের মজার কথা বা কোন বিষয়ে সামান্যটুকু অবহেলাও পছন্দ হয় না আমার। সামান্যতেই প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছি,যা আমার ব্যক্তিত্বের সাথে মোটেই যায় না।

তবে একটা ভাল পরিবর্তন দেখতে পারছি আমি, এখন আমি আর ঠিক আগের মত অন্তর্মুখী নাই কিছুটা বহির্মুখী হচ্ছি।


freelancer cum blogger kowshik chandra chanda

কৌশিক চন্দ - ব্লগার কৌশিক।